রাহুল বাগ, ঝাড়গ্রাম: জিতুশোল গ্রাম। গ্রামের প্রায় প্রতি বাড়িতে অজানা জ্বর। জ্বরে মৃত্যুও ঘটছে। লকডাউন উপেক্ষা করে
ভিন রাজ্যের শ্রমিক এর আনাগোনা। পাশাপাশি মোহনপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চরম অবহেলা, উদাসীনতায় অবস্থার অবনতি।
ঝাড়গ্রামের জিতুশোল গ্রামে প্রায় ১০০ পরিবারের প্রতিটা বাড়িতে জ্বর, সর্দি, কাশি। হাসপাতাল মুখি হন নি কেউ ই। স্হানীয় ওষুধ দোকান বা হাতুড়ে ডাক্তারের চিকিৎসা করিয়ে ঘরেই থাকছেন। বেশ কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। পাশেই মোহনপুর হাসপাতাল গনহারে অজানা জ্বর এর কারন কি? করোনা আক্রান্ত কিনা। কোনো খবরই নেননা সেখান কার বিএমওএইচ মানিক সিং। ফলে কেউ ঠিক হচ্ছেন তো কারো মৃত্যুও ঘটছে।
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য এরকম ছিলোনা। পাশেই স্পঞ্জ আয়রন কারখানার জন্য দূষন মাত্রাতিরিক্ত। তাতে চর্মরোগ, সিলিকোসিস এর মত রোগ জ্বালা হতো। কিন্তু যবে থেকে করোনার প্রকপ বেড়েছে তবে থেকে শুরু হয়েছে অজানা জ্বর। উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ড, বিহারের লেবারদের থেকে এসব ছড়াচ্ছে বলে ধারনা। তার উপর লকডাউনে সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে চলছে কারখানার কাজ। সাথে ভিনরাজ্যের লেবার দের আনাগোনা।
নিয়ম মানানোর বদলে ঝাড়গ্রাম থানার আইসির তত্ত্বাবধানেই চলছে ট্রাক চলাচল সহ বিভিন্ন কাজ।
এতেই আরো রোগ ছড়াচ্ছে বলে ধারনা গ্রামবাসীদের। এতদিন ধরে জ্বর এর খবর জানার পরও মোহনপুর বিএমওএইচ এর তরফ থেকে কোনো টিম পাঠানো হয়নি। হয়নি কোনো পরীক্ষার ব্যাবস্থা। সচেতন যে সমস্ত মানুষ নিজেরা পরীক্ষা করিয়েছেন তার অধিকাংশই করোনা আক্রান্ত। ফলে অজানা জ্বর করোনার লক্ষণ হতে পারে এই আতঙ্কে গোটা গ্রাম।
ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে মাত্র আট কিমি দূরে এই গ্রাম হওয়া সত্ত্বেও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারীকরা নির্বিকার।
একদিকে কারখানার বহিরাগত লেবার অন্যদিকে বেহাল স্বাস্থ্য ব্যাবস্থায় আতঙ্কের প্রহর গুনছে গোটা গ্রাম। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।