বাপি আকুঞ্জি, উওর ২৪ পরগনা : বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া ব্লকে আটঘরা গ্রামে ঘটলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। পাইক পাড়ার জয়নাল মোল্লার ছোটো মেয়ে রাজিয়া খাতুনের সঙ্গে পাশের গ্রাম আটঘড়ার আনোয়ার হোসেন মোল্লার বড়ো ছেলে হাসানুজ্জামান মোল্লা বিয়ে হয়েছিল বেশ ঘটা করেই। হাসানুজ্জামান পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রী ছিলেন। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই দুই জনের মধ্যে অশান্তি ও ঝামেলা লেগেই ছিল। জানা যায় গত পনেরো দিন আগে গৃহবধূ ঝগড়া করে বাপের বাড়িতে চলে আসে। এরপর স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজন ফিরিয়ে আনতে আসলে গৃহবধূ আর ফেরেনি।
শুক্রবার রাতে শেষবারের মতো স্বামী হাসানুজ্জামান আনতে যাই শ্বশুরবাড়ি কিন্তু স্ত্রী রাজিয়া আসেনি বরং পরিবারের লোকদের নিয়ে ঝগড়া ও অপমান করে স্বামীকে। তারপর অভিমান করে স্বামী চলে আসেন নিজের বাড়িতে। এরপরই আটঘড়া সংলগ্ন একটি আমবাগান থেকে হাসানুজ্জামান – এর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় গ্রাম বাসিরা। তাকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা হাসানুজ্জামান কে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছেলেটির পরিবারের অভিযোগ তাদের ছেলেকে পিটিয়ে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, ছেলেটির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ছেলেটির পরিবারের লোকজন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে? নাকি মেরে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে? নাকি সে অপমানে আত্মহত্যা করেছে? সবটাই খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। অভিযুক্ত রাজিয়া খাতুন পলাতক। হাড়োয়া থানার পুলিশ তাকে খুঁজছে। এই ঘটনায় পুরো গ্রামে নেমে এসেছে এক শোকের ছায়া ।