ফিরোজ হক্, মেটেলী: করোনা পরিস্থিতির দরুণ ২৩ শে মার্চ দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয়েছে লকডাউন। উল্লেখ্য যে, লকডাউনের পরবর্তী সময় থেকেই দেশের একাধিক অঞ্চল থেকে উঠে এসেছে দুরাবস্থার নির্মম চিত্র। বিশেষ করে, দিনমজুর ও বাগান এলাকার বাসিন্দাদের দিনযাপন করতে হচ্ছে অনাহারে ও অর্ধাহারে। এমনই একটি বাগানে ঘেরা অঞ্চল হল জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলী।
মেটেলী ও মেটেলী সংলগ্ন এলাকার অসহায় মানুষদের করুণ অবস্থা দেখে তাদের পাশে দাঁড়ালো ওয়াইএমএ (YMA) ক্লাব। দীর্ঘ ৯ দিন যাবৎ এলাকার অসহায় মানুষদের খাদ্য বিতরণ করে আসছে এই সংস্থা। প্রতিদিনই মধ্যাহ্নভোজ করবার জন্য মেটেলী ও মেটেলী সংলগ্ন এলাকার মানুষেরা এসে ভুরিভোঁজ করে যাচ্ছেন এখান থেকে। সঙ্গে থাকছে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার।
এই সংস্থার সদস্যরা যথেষ্ট সচেতনভাবেই কাজ করে চলেছেন। তাই খাবার দেওয়ার সময়ে জমায়েত না করিয়ে বরং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দিকে লক্ষ্য রাখছেন সংস্থার সদস্যরা।
সংস্থার তরফ থেকে জানা যায়, মঙ্গলবার প্রায় ৫০০-এর অধিক অসহায় নিরন্ন মানুষ বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে এসেছিলেন খাবার সংগ্রহ করতে। এই সংস্থার উদ্যোগে উৎসাহিত হয়ে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছিলেন দিলীপ গুহ রায় ও কৌশিক গুহ রায়। মঙ্গলবারের যাবতীয় খরচ তাদের তরফ থেকেই বহন করা হয়। সংস্থার সক্রিয় সদস্য দেবাদিত্য দাস (বুবলু) নিউজপিডিয়াকে জানান, “সরকারি তরফে লকডাউন না ওঠা পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম জারি থাকবে।”