নিউজপিডিয়া ডেস্ক, ১২ জুলাইঃ তিন হাসপাতাল ফেরানোর পর মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের বাসিন্দা শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনটি হাসপাতালে ঘুরেও মিলেনি বেড। কামারহাটি ইএসআই, সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ তীব্র শ্বাসকষ্ট হলেও ভর্তি নেওয়া হয়নি রোগীকে অভিযোগ পরিবারের। ওই তিনটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল শুভ্রজিৎ। গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, তরুণের ছিল উচ্চ সুপার। পরিবারের তরফে জানানো হয়, প্রথমে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুগার পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে, রক্তে শর্করার পরিমাণ খুবই বেশি। সেখানে আইসিইউতে বেড নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে করোনা স্পেশালিস্ট সাগরদত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওরা করোনা টেস্ট করে পজিটিভ পেলে বলে বেড নেই। বাধ্য হয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ওরা পরামর্শ দেয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করার। পরে রাত্রি ন’টা নাগাদ জানানো হয় শুভ্রজিৎ মৃত।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, শুক্রবার রাজ্যের ১০ হাজার ৮৩০টি কোভিড বেডের মধ্যে ২৭ শতাংশ ভর্তি। অর্থাৎ বাকি ৭৩ শতাংশ ফাঁকা। তাও বেডের অভাবে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে কেন ঘুরে বেরাতে হল তরুণের পরিবারকে ? বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত হওয়াও শুভ্রজিতেরে দেহ দাহ নিয়েও শুরু হয়েছে টালবাহানা। তার বাবা বলেন, “সরকারি নিয়মানুযায়ী আমরা নিরাপদ দূরত্ব থেকে সন্তানকে শেষ দেখা দেখতে পারি। তা সত্ত্বেও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি নয়। ওরা সন্তানকে দেখতে দেওয়ার কথা বলায় দুর্ব্যবহার করে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।